সারা World টাকার পিছনে ছুটছে । চাকরি করার পাশাপাশি আরও দু পয়সা ইন কাম করার জন্য সবাই মরিয়া । বেকারাত্ত আমাদের পিষে মারছে । চাকরীর জগত টাকে বড় করে অনেকে স্বাধীন ভাবে Freelancing করছে । বস এর কোন তাড়া নেই । বাংলাদেশ Freelancing জগতে বেশ ভাল ই করছে । স্কুল কলেজের ছাত্র রা Freelancing এর পর বেশ ঝুঁকে পড়ছে কিন্তু কাজ শেখার কোন ভালো প্রটিস্তান নেই । oDesk, Freelancer এর উপর সবাই ঝুঁকছে কিন্তু Unskilled হবার কারনে কাজ পাচ্ছে না । তাছাড়া কাজ শেখার জন্য দেরী করতে কেউ চায় না । সবাই আজ অদেস্ক প্রোফাইল খুলে কাল কাজ করে টাকা আয় করতে চায় । ধরুন আপনি Graphics Design এর কাজ শিকছেন, আপানার কাজ শিখতে তিন মাস সময় ত লাগবে । তাছাড়া অদেস্ক, ফ্রীলানচার এ যে ভাবে ভিড় বাড়ছে তাতে কাজ পেতে অনেক সময় ও লাগবে । Competition এর যুগ । যদি এমন হয় যে আপনি আজ প্রোফাইল খুলে কাল আয় করবেন তবে কেমন হয় ! আপনি যদি প্রতিদিন ২ ঘণ্টা সময় অপচয় করেন তবে অদেস্ক এর থেকে ও বেশী আয় করতে পারবেন । আমি বলছি affiliate marketing এর কথা । আমেরিকা র বেশীর ভাগ মানুষ যেটা করে থাকে । আমি এমন একজন কে জানি যে Affiliate Marketing করে তার ৫ সদসের পরিবার চালায় ।

 এটা থেকে কেমন আয় করা যায় ?
দিনে যদি আপনি ১ ঘণ্টা সময় অপচয় করেন তবে মাসে ১০০$ বা বাংলাদেশী ৮০০০ টাকা আয় করতে পারবেন ।
অনেকে মনে করেন আমি বাংলাদেশে থেকে কি করে বিদেশী দের কাছে Product সেল করব ! আবার অনেকে Affiliate Marketing এর জন্য নিজস্ব এক্তা ওয়েবসাইট থাকতে হবে বলেন । কিছু দিন আগে ও একটা পোস্ট পড়লাম যেটা তে সেই রকম ই বলা হল । যা হোক আমি ছোট্ট একটা উপায় বলব যেটা দিয়া আপনি মাসে সর্ব নিম্ন ১০০$ বা ৮০০০ টাকা আয় করতে পারবেন, আপনার কোন ওয়েব সাইট এর দরকার নেই । আপনার মডেম এর আন-লিমিতেদ জিবি ও লাগবে না । ১ জিবি Connection ই পর্যাপ্ত । আমার এই টিপস টা একবার ব্যবহার করে মন্তব্য করবেন ।
একটা ভালো Affiliate website খুঁজে বের করুন আর রেজিস্ট্রেশান করুন । খুব সুন্দর করে ১ টা Review লিখুন । মনে রাখবেন একটার বেশী আর্টিকেল লেখার কোন দরকার নেই । গুগল সার্চ করে বেশ ক দিন সময় নিয়া আর্টিকেল লিখুন । কেননা এই একটা আর্টিকেল ই আপনাকে টাকা এনে দেবে । এমন ভাবে আর্টিকেল লিখুন যাতে আপনার আর্টিকেল পড়ে অন্য লোকে প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হয় । যা হোক আমি ধরে নিলাম আপনার আর্টিকেল লেখা শেষ । এখন প্রধান কাজ করার সময় । আপনি আপনার প্রোডাক্ট এর উপর গুগলে সার্চ দিয়ে ফোরাম খুঁজে বের করুন আর ফোরাম এ আপনার আর্টিকেল টা পোস্ট করুন আর আর্টিকেল এর শেষে আপানার Affiliate Link টা দিয়া দেন, ও আর একটা কথা বলতে ভুলে গিয়াছিলাম, সাইন আপ করার পর Affiliate ওয়েব সাইট এই লিঙ্ক টা আপনাকে দেবে। আপনি এটা খুব যত্ন করে রাখবেন আর এই লিঙ্ক টা ফেসবুক এ ও শেয়ার করতে পারেন। একটা গোপন কথা শেয়ার করলাম যা আপনাকে অন্য কেউ বলবে না । ফোরাম থেকে Review পড়ে ৯৫% প্রোডাক্ট বিক্রি হয় । যদি আপনার আর্টিকেল ভালো হয় তবে Sell হতে সময় লাগবে না । প্রতিদিন ১ ঘণ্টা সময় অপচয় করে ফোরাম খুঁজে বের করে আর্টিকেল পোস্ট করতে থাকুন । আর যদি সময় থাকে তবে ফোরাম গুলোতে অ্যাক্টিভ থাকুন । ব্যাস, আপানার কাজ শেষ ।

ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য হতে পারে, কিন্তু সত্যি। এক মাসে আয় ৯৬ লক্ষ সতেরো হাজার ৪ শত ২০ টাকা! ভাবা যায়? কিন্তু এটা সত্যি। কে এতো টাকা আয় করে? কীভাসে সেটা সম্ভব? চলুন আজকে এই ব্যাপারেই কথা বলা যাক। এই ইনকাম যিনি করেছেন তিনি এটা করেছেন এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে। সুতরা তাই শুরুতেই এফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়ে হালকা একটা ধারণা দেয়া যাক যারা একেবারে নতুন, তাদের জন্য।


এফিলিয়েট মার্কেটিং কী?

যদি সহজ ভাষায় বুঝতে চান তাহলে এভাবে সংজ্ঞাটা দিতে পারি- অন্য কারও একটা প্রোডাক্ট/সার্ভিস আপনি সেল করে দেবেন কাস্টমারের কাছে, বিনিময়ে প্রোডাক্ট/সার্ভিস অউনার আপনাকে একটা কমিশন দেবে। কী, ব্যাপারটা কি কঠিন মনে হচ্ছে? তাহলে চলুন একটু ওভারভিউ করা যাক।

কেন এফিলিয়েট মার্কেটিং সেরা?

কারণ, একমাত্র এফিলিয়েট মার্কেটাররাই বস। আর সবাই চাকুরীজীবী। তা ফ্রিল্যান্সার বলেন, ওয়েব প্রোগ্রামার বলেন কিংবা যেই লেভেলের কথাই বলুন না কেন, সব সেক্টরের স্কিল পার্সনরাই এফিলিয়েট মার্কেটারের কাছে কাজের জন্য যেতে বাধ্য। কারণ এফিলিয়েট মার্কেটাররা কোনো কাজ করেন না, তারা কাজ করান। কী, বিশ্বাস হয় না? এই সেক্টরে একটু খোঁজ-খবর নিলেই বিষয়টা ক্লিয়ার হবে আপনার কাছে।

কেন এফিলিয়েট মার্কেটিং ঝামেলাহীন?

কারণ, একটা প্রোডাক্ট/সার্ভিস বিক্রি করার পর আপনার আর দ্বায়বোধ নেই। সার্ভিস/সাপোর্ট দেয়ার দায়িত্ব প্রোডাক্ট অউনারের। অথচ আপনি যদি প্রোডাক্ট/সার্ভিস অউনার হন, তাহলে আপনার কতরকম ঝামেলা! তাই না? এসব দিক বিবেচনা করে এফিলিয়েট মার্কেটিং-এর চেয়ে মজার আর কিছু নাই। বিশ্বাস করুন আর নাই করুন: পৃথিবীর প্রায় সব এফিলিয়েট মার্কেটররাই পেসিভ ইনকাম করেন। আর ইনকাম যেহেতু অটোমেটিক হয়, বেশিরভাগ এফিলিয়েট মার্কেটাররাই পুরো পৃথিবী ঘুরে বেড়ান। সবচেয়ে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করেন।

তাহলে কি এফিলিয়েট মার্কেটিং খুবই সোজা?

জ্বি না। মোটেও তা না। “যতো গুড়, ততো মিষ্টি” প্রবাদটা জানেন? যদি জেনে থাকেন তাহলে আপনাকে আর বুঝিয়ে বলার দরকার নাই। যারা ‍জানেন না, তাদের জন্য বলছি: যত সুখে থাকতে চাইবেন, ততো কষ্ট ভোগ করে সুখটা জমা করতে হবে। ক্লিয়ার? এফিলিয়েট মার্কেটিং ঝামেলাহীন, এফিলিয়েট মার্কেটাররা বস, এফিলিয়েট মার্কেটাররা অটো ইনকাম করেন কিন্তু সেটা শুরু থেকেই নয়, বুঝছেন? দুঃখের সাত-সমুদ্র আর তেরো নদী পার হয়েই সুখের দুনিয়ায় ঘুরে বেড়ান তারা।

কী ব্যাপার ভাই? আপনার সমস্যা কি? একবার বলেন সহজ, একবার বলেন কঠিন?

ভাইরে, ব্যাপার তো এটাই। এক মাসে ৯৬ লক্ষ প্লাস টাকা ইনকাম করেন যিনি, তিনি কতটা পরিশ্রম করে এখানে আসছেন তা তিনিই জানেন। তবে মজার ব্যাপার হলো: তিনি কিন্তু আপনার আমার মতো মানুষই। এবং তিনি এবং তারমতো আরও সবাই-ই তাদের অগ্রসর হবার কাহিনীগুলো অনলাইনে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। যেগুলো পড়ে আমরা তাদের মতো অতোটা এফোর্ট না দিয়েও সহজে ইনকামের রাস্তায় ঢুকে যেতে পারবেন।

ভাই, লোভ দেখাচ্ছেন নাকি আমিও পারবো ইনকাম করতে?

যারা কাজ না করে অর্থের চিন্তা করে তারাই লোভী। আপনি যদি কাজ করতে রাজি থাকেন তাহলে এটা লোভ নয়। আপনি যদি পরিশ্রমী হয়ে থাকেন, আপনার মনের ভেতর যদি থাকে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার স্পৃহা তাহলে আপনার জন্যই এফিলিয়েট মার্কেটিং। আর আপনি যদি পছন্দ করেন নয়টা-পাঁচটা অফিস। গদবাঁধা কাজ। তাহলে দয়া করে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে দূরে থাকুন ১০০ হাত। বুঝছেন?

তাহলে বলেন আমি কত টাকা ইনকাম করতে পারবো?

প্রথম শ্রেণী থেকে মাস্টার্স পর্য়ন্ত কত বছর? কম করে হলেও ১৭ বছর। ১৭ বছর পড়ালেখা করে ১৫ হাজার টাকা দামের চাকরির জন্য হাহাকার করে সবাই। তাহলে এফিলিয়েট মার্কেটিং-এর নাম শোনার সাথে সাথে কেন চিন্তা করতেছেন এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন? কেন আমাকে প্রশ্ন করলেন না- শিখতে কত দিন এবং কি কি লাগবে? কতদিন শেখার পর ইনকাম শুরু করতে পারবো? ওয়েল, ধরে নিলাম এই প্রশ্নটা আপনি করেছেন। আপনার জন্য জবাব হচ্ছে- দুই রকম পদ্ধতি জানা আছে আমার।
এফিলিয়েট মার্কেটিং আর্নিং পদ্ধতি # ০১: আজকে থেকেই আর্নিং শুরু। তবে যতটুকু কাজ করবেন ততটুকু ইনকাম।
এফিলিয়েট মার্কেটিং আর্নিং পদ্ধতি # ০২: দুই মাস পড়াশোনা, ৪ মাস প্রাকটিক্যাল। অর্থাৎ ৬ মাস স্টাডি, তারপর পরবর্তী ৬ মাস কাজ করবেন। তাহলে প্যাসিব ইনকাম করতে পারবেন।
এবার বলেন কোনটা আপনার পছন্দ? আমার কিন্তু দ্বিতীয়টা পছন্দ। প্রথম পদ্ধতি এপ্লাই করে গত বছর কিছু ইনকাম করেছি। কিন্তু রাত-দিন পরিশ্রম করে মাস শেষে ৬০০/৭০০ ডলার ইনকাম খুব অপ্রতুল মনে হতো আমার কাছে। এই জন্য ৭-৮ মাস স্টাডি করেছি এফিলিয়েট মার্কেটিং-এর উপর। তারপর এখন যে প্রজেক্ট করেছি সেখান থেকে আলহামদুলিল্লাহ প্যাসিভ ইনকাম শুরু না হলেও দৈনিক ১/২ ঘণ্টা কাজের বিনিময়ে যা আসছে তা যথেষ্ট। এই মাসে আরেকটা নতুন প্রজেক্ট শুরু করেছি। আশা করছি আগামী এপ্রিল থেকে ইনকাম ডাবল হবে।

আপনি কি করবেন?

ইচ্ছে আছে এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে একটা চেইন টিউন লেখার। যেখানে দেখানো হবে কীভাবে অল্প সময়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং-এ ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
যদি বলি ১ মাস স্টাডি করার পর ২ মাস কাজ করবেন প্রাকটিক্যালি। অর্থাৎ চতুর্থ মাস থেকে ২০০-৫০০ ডলার ইনকাম করতে পারবেন, তাহলে কি আগ্রহী হবেন? যেটা ২০০ ডলার দিয়ে শুরু করবেন, বছর শেষে কিন্তু সেটাকেই ২০ হাজার ডলারে উন্নতি করতে পারবেন আপনি চাইলেই। আমি দেখাবো আমাজন কাজে লাগিয়ে কীভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন।
কী বলেন, শুরু করবো একটা চেইন টিউন? কারও আগ্রহ আছে?
ধন্যবাদ, কষ্ট করে টিউনটা পড়ার জন্য।
বি:দ্র: উপরে যার ইনকামের কথা বলেছি, তার নাম প্যাট ফ্লিন। তার অক্টোবর মাসে ইনকাম দেখানো হয়েছে। লিংকে ক্লিক করে আরও বিস্তারিত জানতে পারেন: প্যাট ফ্লিনের অক্টোবর মাসের ইনকাম

বেশ কিছু দিন আগে আমি এই ব্লগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম কীভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে সবচেয়ে কম পরিশ্রমে বেশি ইনকাম করা যায়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, এতো সহজ করে টিউটোরিয়াল লেখার পরও এখানে হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়া আর কেউই সফল হতে পারেননি। অবশ্য যারা ভালো করেছেন তারা খুবই ভালো করেছেন। আর যারা পারেননি তারা একেবারেই পারেননি।
কেন এমন হলো? এফিলিয়েট মার্কেটিং কি খুবই কঠিন?
আসলে ব্যাপারটা তা নয়। বেশ খোঁজ-খবর করে এবং আপনাদের অনেকের সাথে কথা বলে আমি যেটা বুঝলাম সেটা হচ্ছে- মার্কেটিং ব্যাপারটা অনেকেই বুঝতে পারছেন না। একটা ব্যাপার আপনাদের মাথায় রাখতে হবে- জোর করে কাউকে কিছু কিনতে বাধ্য করা যায় না যদি না সে জিনিসটা নিজের জন্য প্রয়োজন বোধ করে। তো মূল ব্যাপার হচ্ছে- আমরা কেউ মার্কেটিং-এ এক্সপার্ট না; তাই এফিলিয়েট জগতে সাকসেস পাচ্ছি না।
তো এই প্রবলেম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কীভাবে?

ওয়েল! আজকে আমি আপনাদেরকে এমন একটা এফিলিয়েট পদ্ধতির কথা বলবো যা জানার পর কোনো কিছু বিক্রয় না করেও আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং জগতে খুব এবং খুবই ভালো করতে পারবেন। কীভাবে? সেটাই আজকে আপনাদের জানানো হবে।

ক্লিক পার লিড (CPL)

এফিলিয়েট ধরণ অনুযায়ী অনেক রকম। এর মধ্যে জনপ্রিয়গুলো হচ্ছে সিপিএল, সিপিএস, সিপিএ ইত্যাদি। সিপিএল মেথডটি হচ্ছে: আপনাকে কোনো কিছু সেল করতে হবে না। শুধুমাত্র কোনো ইবুক ডাউনলোড করলে, বা কোনো ভিজিটর শুধুমাত্র তার ইমেইলটি সাবমিট করলেই আপনি পেমেন্ট পাবেন। আজকে যে প্রোডাক্টটি নিয়ে লিখবো সেখানে দেখানো হবে- কীভাবে একজন ভিজিটর শুধুমাত্র তার ইমেইল এড্রেসটি সাবমিট করলেই আপনি টাকা পাবেন। স্বাভাবিকভাবেই এইক্ষেত্রে পেমেন্ট খুব কম। কারণ এখানে কোনো কিছু সেল করতে হবে না। সাধারণত একটি ইমেইল সাবমিট করার ফলে ১ ডলার থেকে শুরু করে ২০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। আমরা যে প্রোডাক্টটি আজকে দেখবো সেক্ষেত্রে আপনি ২.৫ ডলার পাবেন প্রতিটি ইমেইল সাবমিট করাতে পারলে।

ক্লিকসিউর এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসটি মূলত সিপিএ মেথডের জন্যই বিখ্যাত। এবং এখানে বেশিরভাগ-ই মেক মানি রিলেটেড প্রোডাক্ট। কিন্তু গত কয়েকমাস যাবৎ এই মার্কেটপ্লেসে সিপিএল বা ক্লিক পার লিড প্রোডাক্ট দেখা যাচ্ছে। আমি গত ৩ মাস যাবৎ এই প্রোডাক্টগুলো নিয়ে কাজ করেছি। সাফল্য পাওয়ার পরই কেবল আপনাদের জন্য লিখতে বসেছি। কারণ এই ব্লগের বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ করেছি- এই ব্লগে এমন কিছু লেখা হবে না যা মুখস্ত লেখা হবে ইংরেজি ব্লগ থেকে অনুবাদ করে। বরং এখানে এমন টিউটোরিয়াল-ই লেখা হবে যা বাস্তবিকই লেখক কাজ করেছেন এবং সফলতা পেয়েছেন।
তো যাই হোক, চলুন প্রাকটিক্যালি কাজ করে বুঝতে চেষ্টা করি কীভাবে কোনো কিছু সেল না করেও আপনি পেমেন্ট পাবেন।

কীভাবে ক্লিকসিউরে সাইন আপ করবেন?

উপরে যে লিংকটি দিয়েছি সেটি পড়ে আশা করি আপনি ইতোমধ্যে জেনে গেছেন কীভাবে ক্লিকসিউরে একাউন্ট ওপেন করতে হয়। আর আপনি যদি ইতোমধ্যে ক্লিকসিউরে একাউন্ট ওপেন না করে থাকেন তাহলে আমার রেফারেল লিংক থেকে করতে পারেন। এতে আমি সামান্য লাভবান হবো। আপনাদের জন্য কষ্ট করে টিউটোরিয়াল লিখি। তো যেহেতু আমার রেফারেলে একাউন্ট ওপেন করলে কোনো লস নেই আপনাদের তো চাইলে করতে পারেন। ক্লিকসিউরে সাইন আপ করতে এখানে ক্লিক করুন- সাইনআপ ক্লিকসিউর

ক্লিকসিউর ক্লিক পার লিড কাজ করার প্রক্রিয়া

তো চলুন দেরি না করে কাজ শুরু করি। আশা করি ইতোমধ্যে ক্লিকসিউরে সাইনআপ করেছেন। এবার ক্লিকসিউরে লগিন করুন। তারপর ডান দিকের সাইডবারে দেখুন এক জায়গায় লেখা আছে- Live Marketplace. এই লেখাটার নিচে তিনটা বাটন দেখুন: Top CPA | Top CPL | RevShare. আপননি Top CPL-এ ক্লিক করুন। এখানে একটা লিস্ট দেখতে পাবেন। নিচের ছবিটি দেখুন-

Top CPL List of Clicksure
Top CPL List of Clicksure
বর্তমানে এখানে ১০টি সিপিএল প্রোডাক্টের লিস্ট রয়েছে। ৯ নাম্বার প্রোডাক্টটি নিয়ে আমি কাজ করতে বলবো। কেন? কারণ এটির পেমেন্ট দ্রুত পাবেন এবং এই প্রোডাক্টটি স্ক্যাম নয়। অর্থাৎ লিড কালেক্ট করতে পারলেই পেমেন্ট পাবেন মোটামুটি নিশ্চিত। প্রোডাক্টটির নাম: TradeXPRT. বর্তমানে এটি ৯ নাম্বারে থাকলেও উপরে নিচে যেতে পারে। কেননা এই টপ টেন (Top 10) লিস্টটি প্রতিদিন-ই আপডেট হয়।
TradeXPRT লিংকটিতে ক্লিক করলে নতুন একটি উইনডো ওপেন হবে। যেখানে এই প্রোডাক্ট সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা আছে। ঐ পেজটি দেখলে সহজেই আপনি সবকিছু বুঝতে পারবেন। আরও সহজে বুঝতে নিচের স্ক্রিনশটটি দেখুন:-
Clicksure Best CPL Product Review
বড় করে দেখতে ইমেজটিতে ক্লিক করুন
ইমেজটিতে আমি বাংলায় লিখে দিয়েছি বিস্তারিত। সুতরাং যদি ভালো করে উপরের ইমেজটি দেখেন তাহলে কাজ করতে প্রবলেম হওয়ার কথা না। তারপরও চলুন এক নজর দেখা যাক প্রয়োজনীয় কি কি কাজ কীভাবে করতে হবে আমাদের:-
Title – TradeXPRT First Page Email Submit CRAZY IM/BizzOpp [AU/CA/NZ/SG/IE/UK/NO/DK]: অর্থাৎ এই ক্যাম্পেইন বা প্রোডাক্টের নাম এটা।
Terms – Weekly Net 25: অর্থাৎ আপনার এফিলিয়েট লিংক থেকে কেউ একজন তার নাম এবং ইমেইল সাবমিট করার ২৫তম দিনে আপনি পেমেন্ট পাবেন। এর আগে অবশ্য আপনার ক্লিকসিউর একাউন্টে ব্যালেন্স দেখাবে কিন্তু আপনি সেটা উইথড্র করতে পারবেন না।
Campaign Payout – $2.50: অর্থাৎ প্রতিটি লিড কালেক্ট করার জন্য আপনাকে আড়াই ডলার পেমেন্ট করতে হবে। খেয়াল করুন- কিছু না কিনেও যদি শুধুমাত্র কোনো ভিজিটর তার নাম এবং ইমেইল সাবমিট করে তাহলে এটাকে একটা “লিড” বলা হয়। এবং প্রতিটি লিডের জন্যই আপনি আড়াই ডলার পেয়ে যাবেন।
Countries Allowed – Australia, Canada, Ireland, New Zealand, United Kingdom, Singapore, Norway, Denmark: এখানে যেই ৮টা দেশের নাম লেখা আছে শুধুমাত্র এই ৮টা দেশ থেকে কেউ নাম এবং ইমেইল সাবমিট করলেই লিড গণনা করা হবে এবং আপনি পেমেন্ট পাবেন।
JV URL – http://tradexprt.com/jv : এই লিংকটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রোডাক্টটা মার্কেটিং করার আগে অবশ্যই এই লিংকে যাবেন এবং বিভিন্ন তথ্য ভালো করে দেখে নেবেন।
Default Link – http://YOUR_CLICKSURE_ID.tradexprt.cpa.clicksure.com : এখানে যে লিংকটি থাকবে এটিই হচ্ছে আপনার এফিলিয়েট লিংক এই প্রোডাক্টের জন্য। YOUR_CLICKSURE_ID স্থানে আপনার ক্লিকিসিউর ইউজার নেম বা আইডি থাকবে। কাজের সুবিধার্থে এই লিংকটিকে শর্ট করে নিতে পারেন কোনো শর্টেনার দিয়ে। শর্টেনার হিসেবে এটি ইউজ করতে পারেন: http://tr.im/

TradeXPRT প্রোডাক্ট পেজ

TradeXPRT প্রোডাক্টের আপনার এফিলিয়েট লিংকে (যেমন: http://YOUR_CLICKSURE_ID.tradexprt.cpa.clicksure.com) গেলে যে ওয়েবসাইটটি ওপেন হবে সেটিও আপনি ভালোভাবে দেখুন। নিচের স্ক্রিনশটটির মতো দেখতে পাবেন:-
Clicksure TradeXpert Website
বড় করে দেখতে ইমেজটিতে ক্লিক করুন
এই পেজটি ভালো করে দেখলে বুঝবেন- এখানে ফুল নেম এবং ইমেইল এড্রেস সাবমিট করতে বলতেছে। তো এখন কি আপনি প্রশ্ন করবেন যে, কীভাবে এরকম ভিজিটির যোগাড় করবেন যারা আপনার জন্য ফুল নেম এবং ইমেইল এড্রেস সাবমিট করবে? ওয়েল, এটা হচ্ছে মার্কেটিং-এর অংশ। কোথায় কীভাবে মার্কেটিং করবেন সেটা না জানলে আপনি লিড কালেক্ট করবেন কীভাবে? আর লিড কালেক্ট না করতে পারলে টাকাতো আর পাবেন না। সো এখন যে অংশটা বলবো এটা জরুরি।
হয়তো আপনি মার্কেটিং-এর অনেক কিছুই জানেন। কিংবা হয়তো আপনি ইতোমধ্যে ঠিক করে ফেলেছেনে কোথায়, কীভাবে মার্কেটিং করবেন ট্র্যাফিক/ভিজিটর পাওয়ার জন্য, যারা তাদের নাম এবং ইমেইল সাবমিট করবে।
যদি তাই হয়, তাহলে বলবো আপনি এডভান্স। সফলতা আপনি পাবেনই। আর যারা নতুন, এখনো বুঝতে পারছেন না কীভাবে এবং কোথায় মার্কেটিং করবেন তাদের জন্য পরবর্তী ধাপে বিস্তারিত লিখছি। মনোযোগ দিয়ে নিচের অংশটা পড়ুন, বারবার পড়ুন। আশা করি এবার আপনি এফিলিয়েটে সফলতা পাবেনই, পাবেন! ইনশাল্লাহ!!

মার্কেটিং > ট্র্যাফিক/ভিজিটর > লিড কালেক্ট

উপরের ৩টা অংশ ক্রমান্বয়ে ঘটবে। একটার সাথে আরেকটা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। কীভাবে? দেখুন-
  • আপনার এফিলিয়েট লিংক মার্কেটিং করবেন বিভিন্ন স্থানে
  • এফিলিয়েট লিংক মার্কেটিং করলে ট্র্যাফিক/ভিজিটর আসবে আপনার লিংকে
  • ট্র্যাফিক/ভিজিটররা যদি তাদের নেম এবং ইমেইল সাবমিট করে তাহলে আপনার লিড কালেক্ট হবে।
এবং লিড কালেক্ট হলেই আপনি পেমেন্ট পাবেন।
আশা করি আপনার কাছে পরিপূর্ণ ব্যাপারটা এখন ক্লিয়ার। তো প্রথমে আমরা মার্কেটিং করবো। কোথায়? অনেক অনেক স্থান আছে। আমি আপনাকে দেখাবো ফেসবুকে কীভাবে আপনার প্রোডাক্টটি মার্কেটিং করবেন

ফেসবুক মার্কেটিং

ফেসবুকে দুইভাবে মার্কেটিং করা যায় ট্র্যাফিকের জন্য:-
১. পেইড মার্কেটিং – এজন্য আপনাকে নগদ টাকা খরচ করতে হবে এবং
২. ফ্রি মার্কেটিং – সম্পূর্ণ ফ্রি মেথড। শুধু সময় ইনভেস্ট করতে হবে। আপাতত আমি ফেসবুক ফ্রি মার্কেটিং সম্পর্কে লিখবো। হাতে টাকা পেলে তখন পেইড মার্কেটিং করতে পারবেন।
প্রোডাক্ট পেজটি ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখবেন এটি একটি মেক মানি প্রোডাক্ট। প্রোডাক্ট অওনার তার সাইটে বলছেন যে: তুমি কি যথেষ্ট টাকা ইনকাম করতে ক্লান্ত হয়ে গেছো? এটাই সময় ২০০ ডলার ডেইলি ইনকামকে ২০০০ ডলারে উন্নতি করার।
অর্থাৎ যারা এই পেজে আসবে তারা জানতে পারবে কীভাবে তাদের ইনকাম বৃদ্ধি করবে। সুতরাং অনেকেই আগ্রহী হবে এখানে নিজের ইমেইল এবং নাম সাবমিট করার জন্য।
আপনাকে যা করতে হবে…
আপনার এফিলিয়েট লিংক এমন জায়গায় মার্কেটিং করতে হবে যেখানের লোকজন অনলাইন আর্নিং-এর ব্যাপারে আগ্রহী। এই জন্য আপনি ফেসবুকে খুঁজে খুঁজে কিছু গ্রুপ এবং পেজ বের করুন এবং সেগুলোতে জয়েন করুন, যেগুলো মেক মানি রিলেটেড। তারপর সেখানে একটিভ হোন। যারা অনলাইন আর্নিং সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে তাদেরকে সঠিক উত্তর দিয়ে হেল্প করার চেষ্টা করুন। কেউ কোনো লিংক চাইলে গুগল থেকে সার্চ করে লিংক দিন। এভাবে কয়েকদিন যখন ঐসব গ্রুপ এবং পেজগুলোতে নিয়মিত হবেন তখন আপনাকে অনেকেই চিনবে।
এই পরিচয়টা কাজে লাগিয়ে আপনার এফিলিয়েট লিংকটা মাঝে মাঝে ঐ গ্রুপ বা পেজে শেয়ার করুন। লিংকের সাথে সুন্দর করে ইংরেজিতে লিখুন যে: যারা অনলািইন আর্নিং সঠিক ওয়েতে করতে চান এবং কম সময়ে বেশি ইনকাম চান তারা এই লিংকটি দেখতে পারেন। ভুলেও নাম এবং ইমেইল সাবমিট করতে বলবেন না। যারা প্রয়োজন মনে করবে তারা এম্নিতেই সাবমিট করবে। এভাবে কাজ করে আপনি যদি ১০টা ফেসবুক গ্রুপ এবং ১০টা ফেসবুক পেজে নিয়মিত হন তাহলে দৈনিক ২০টা যায়গা থেকে কমপক্ষে ২০টা লিড আপনি কালেক্ট করতে পারবেন সহজেই। আর হিসেব করে দেখুন ২০টা লিডের জন্য আপনি ৫০ ডলার পাবেন। তাহলে মাস শেষে আপনার ইনকাম দাঁড়াচ্ছে ১৫০০ ডলার।
কী বলেন? একমাসে ১৫০০ ডলার একেবারে কম নয়। সুতরা একটু চেষ্টা করেই দেখুন না।

আরও ট্র্যাফিক মেথড চাই?

আপনি যদি শুধুমাত্র ফেসবুকে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখতে না চান এবং ইনকাম পরিমাণ আরও বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে আরও পরিশ্রম করতে হবে এবং সময় ব্যয় করতে হবে অনেক বেশি।
আরও ট্র্যাফিকের জন্য আপনি বিভিন্ন ব্লগ, ফোরাম-এ জয়েন করতে পারেন। গুগল-এ একটু খোঁজ নিলেই অনলাইন আর্নিং-এর বিভিন্ন ব্লগ এবং ফোরাম পাবেন। এছাড়াও টুইটার গুগল প্লাস, লিংকডইনসহ বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটগুলোতেও কাজ করতে পারেন।

শেষ কথা

একটু সচেতন হলেই, একটু কষ্ট করলেই সিপিএল থেকে ভালো মানের ইনকাম করা সম্ভব। আমাদের এই বাংলাদেশ থেকেও অনেকে অনেক ভালো ইনকাম করছে। সিপিএল নিয়ে আরও পড়াশোনা করুন, আপনার চোখের সামনে আরও অনেক অনেক মেথড উন্মেচিত হবে।
তো আজকে এই পর্যন্তই। সিপিএল নিয়ে যেকোনো ধরণের কিছু জানার থাকলে প্রশ্ন করুন। ভালো থাকুন, ধন্যবাদ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে শুধু এটাই বুঝায় না যে, আপনি কিছু সেল করে দেবেন বিনিময়ে কমিশন পাবেন। এছাড়াও আরও অনেক ওয়ে আছে। এরকম কিছু অফারের কথাই এখানে লিখেছি। আশা করি এই লেখাটি পড়ে এফিলিয়েট সম্পর্কিত আপনার ভয় কেটে যাবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং-এর সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মেথড হচ্ছে CPA বা Click Per Action পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে কাজ করে যথেষ্ট মজা আছে। অর্থাৎ আপনি যেটা কাস্টমারকে অফার করবেন সেটা না কিনলেও হবে যদি কাস্টমার আপনার নির্দেশিত লিংকে কনভার্ট হয়। কীভাবে? সেসবই দেখানো হয়েছে সিপিএ (CPA) মার্কেটিং-এর বিভিন্ন টাইপের অফারগুলো থেকে নিয়ে।

Email/Zip Submit: সবচেয়ে সহজে ও দ্রুত লিড পাওয়া যায় Email/Zip Submit অফার থেকে। কেউ এক্ষেত্রে শুধুমাত্র তার ইমেল বা জিপ কোড পুরন করলেই আপনাকে পে করা হবে। এই ধরনের অফারের জন্য পে রেঞ্জ হল $0.50 থেকে $5 প্রতি লিড
Short Forms: এ ধরনের অফারে ইউজারকে অল্প কিছু তথ্য পুরন করতে হয়। যেমনঃ নাম, এড্রেস, জন্ম তারিখ, ফোন নং ও জেন্ডার। এধরনের অফারের পে রেঞ্জ $1 থেকে $10 প্রতি লিড।
Long Forms: এধরনের অফার অনেকটা শর্টফর্ম অফারেরই মত কিন্তু এতে ইউজারের কাছে আরো অনেক ধরনের ইনফরমেশন চাওয়া হয়ে থেকে। যেমনঃ ক্রেডিট কার্ড ইনফরমেশন। এধরনের অফারের পে রেঞ্জ $1o থেকে $20 প্রতি লিড।
Free Trials: এধরনের অফারের ক্ষেত্রে ইউজারকে কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের ট্রাইল এর জন্য সাইনাপ করতে হয়ে থাকে। ইউজার সাইনাপ করার সাথে সাথেই পাব্লিশারকে তার পাওনা দিয়ে দেয়া হয়। এধরনের অফারের পে রেঞ্জ $5 থেকে $20.
Sales: এধরনের অফারে ইউজার কোন প্রোডাক্ট কিনলে তবেই লিড হবে। এই ধরনের অফারে খুব একটা কনভার্ট হয়না যদিও এর লিডের পে অনেক বেশি। এই ধরনের অফারে প্রতি লিডে $20 থেকে $45 পাওয়া যায়।
Installs: এধরনের অফার ইউজার যদি কোন প্লাগিন বা সফটওয়ার তার নিজের পিসিতে ইন্সটল করে তাহলেই কনভার্ট হয় লিডে। এধরনের অফারের পেআউট কম হলেও EPC অনেক বেশি হয়ে থাকে।
Pin Submits: এ ধরনের অফারগুলো সেল/মোবাইল ফোন দিয়ে লিডে কনভার্ট করে থাকে। এই টাইপের অফারে ইউজার তার মোবাইলে একটি কনফারমেশন পিন পেয়ে থাকেন। পরবর্তিতে ফর্মে সেই পিন নং টি সাবমিট করলেই লিডএ কনভার্ট হয়ে থাকে। এধরনের অফারের পে রেঞ্জ $2 থেকে $19 হয়ে থাকে।
Downloads: এধরনের অফার সাধারন ভাবে কোন ইউজার গেম বা সফটওয়ার ডাউনলোড করেলেই লিডে কনভার্ট হয়ে থাকে। সেটা এমন কি রিংটোনও হতে পারে। এধরনের অফারের পে রেঞ্জ $1 থেকে $5.
আমার দৃষ্টিতে/বিচারে এগুলো এফিলিয়েট মার্কেটিং জগতে সবচেয়ে সহজ কাজ। আপনার কাছে কী মনে হয়? যদিও এগুলোতে ইনকাম যথেষ্ট নয়। তবে নতুনদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক ইনকাম বলা যেতে পারে।
ভবিষ্যতে আরও বিভিন্ন অফার নিয়ে লেখা হবে, ইনশাল্লাহ। সাথে থাকুন, ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।

আমরা সকলেই জানি যে CPA নেটওয়ার্কগুলো সাধারনত বিভিন্ন্য কারনে একাউন্ট করার পরেও এপ্রুভ করেনা। এর জন্য প্রতিটি CPA নেটওয়ার্কই নিদিষ্ট কিছু নীতিমালা থাকে থাকে। এই নীতিমালা বা বাছাই পর্ব গুলো করা হয় শুধুমাত্র ফেক লীড, স্প্যামিং ঠেকাতে।
Attention! একটি কথা কখনই ভুলে যাবেন না, CPA নেটওয়ার্ক স্প্যামিং এর স্থান নয়। স্প্যামিং করলে আপনার একাউন্ট বিনা নোটিশে ব্যান করে দেয়া হবে।

আসুন এখন দেখে নেই কিভাবে এডওয়ার্ক মিডিয়াতে একাউন্ট করবেন এবং সফল্ভাবে এপ্রুভ করাবেন।
এডওয়ার্ক মিডিয়াতে গিয়ে “Sign Up Now” বাটনে ক্লিক করুন।
কিভাবে এডওয়ার্ক মিডিয়াতে একাউন্ট করবেন এবং এপ্রুভ করাবেন?
এবার নিচের ছবির ন্যায় একটি ফর্ম আসবে, তাতে আপনার ইনফরমেশন দিয়ে পুরন করুন। তবে অবশ্যই এখানে Promotion Style হিসাবে “PPC/PPV/Display” ও Incentive Traffic এর জন্য “No” সিলেক্ট করুন নতুবা আপনার একাউন্ট এপ্রুভ হবে না।
কিভাবে এডওয়ার্ক মিডিয়াতে একাউন্ট করবেন এবং এপ্রুভ করাবেন?
এখন আপনি আপনার ওয়েব সাইটের এড্রেস দিন (যদি থাকে) আর যদি না থাকে তাহলে কোন পপুলার ওয়েট লস, লোন, ডেটিং রিলেটেড ব্লগের ঠিকানা এখানে দিন। সেক্ষত্রে আপনি গুগলের সাহায্য নিতে পারেন। তবে নিজের সাইট থাকলে সবচেয়ে ভাল। আর কিছু না হোক ফ্রী ব্লগস্পট বা ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগ এ বেশ কিছু ব্যাক ডেটে পোষ্ট দিয়ে আপনি কাজ চালিয়ে নিতে পারেন। How did you find us? এর উত্তর হিসাবে http://ideabaj.com দিয়ে দিন। এর পরের প্রশ্ন Current Networks এর উত্তর হিসাবে “Adscendmedia, Peerfly,Neverblue” দিন।
কিভাবে এডওয়ার্ক মিডিয়াতে একাউন্ট করবেন এবং এপ্রুভ করাবেন?
এবার কথা বলব সব চেয়ে গুরক্তপুর্ন অংশ সম্পর্কে “promotion methods” হিসাবে আপনি নিচের ইমেজে দেয়া কথার গুলো মত কিছু লিখে দিতে পারেন।
কিভাবে এডওয়ার্ক মিডিয়াতে একাউন্ট করবেন এবং এপ্রুভ করাবেন?
“Terms&conditions” এক্সেপ করুন এবং “submit” বাটনে ক্লিক করুন।
কিভাবে এডওয়ার্ক মিডিয়াতে একাউন্ট করবেন এবং এপ্রুভ করাবেন?
আপনি উপরের ধাপগুলো সফল ভাবে সম্পন্ন্য করে থাকলে আপনার একাউন্টের জন্য আবেদন সফলভাবে সম্পন্য হয়েছে। তারা সাধারনত ১ দিনের মাঝেই একাউন্ট এপ্রুভ করে থাকে। আমার ৩ ঘন্টার মাঝেই হয়ে গিয়েছিল।
যদি কোন কারনে তারা আপনার একাউন্ট এপ্রুভ না করে “রিজেক্ট” করে তাহলে নতুন করে আবেদন না করে। তাদেরকে ইমেইল করুন। অথবা স্কাইপেতে চ্যাট করতে পারেন। স্কাইপে আইডি “AWMdennis”.
আজ এই প্রযন্তই, ভাল থাকুন। যেকোন প্রশ্ন আমাকে জানাতে পারেন :)
Information! একাউন্ট এপ্রুভ হয়ে গেলে Promo Code হিসাবে (০০০০০)ব্যবহার করুন। তাহলে আপনি ৫ ঘন্টা ব্যাপী আপনার আয়ের ৫% করে বোনাস হিসাবে পাবেন।


এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে গেলে বেশ কিছু শব্দ আছে যেগুলোর অর্থ আপনাকে জানতেই হবে। শুধু অর্থ নয়, এর কাজ-পরিধি-ব্যবহার ইত্যাদি জানাও আবশ্যক। এখানে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো। আশা করি খুব সহজেই এসব বুঝতে পারবেন এখন। পরবর্তীতে আরও শব্দ নিয়ে আসা হবে।
 Advertiser: এটা হল সেই সাইট বা ব্যক্তি যারা CPA নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপণ দিয়ে থাকে। হতে পারে সে রিটেইলার, অনলাইন রিটেইলার অথবা মার্চেন্ট।
Publisher: এটা হল সেই ব্যাক্তি বা সাইট যারা কমিশনের জন্য কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রোমোট করে থাকে। সহজ কথায় এক্ষত্রে আপনি, আমিই সেই পাবলিশার।
PPL (Pay-Per-Lead): সহজ ভাষায় আপনাকে প্রতিটা লিড এর জন্য পে করা হবে। ধরুন- আপনি কোন এডভার্টাইজার এর প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপণ আপনার সাইটে ব্যানার হিসাবে রাখলেন। পরবর্তিতে আপনার সাইট থেকে ১০ জন ভিজিটর ঐ বিজ্ঞাপণে ক্লিক করে এডভাটাইজারের সাইটে গেল। এর মধ্যে ধরি ১ জন নাম ও ইমেল এড্রেস দিয়ে একটি ফর্ম পুরন করল। তার মানে আপনি ১টি লিড পেয়ে গেলেন এবং আপনাকে এই ১টি লিডের জন্য পে করা হবে।(এক্ষেত্রে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করা আবশ্যিক নয়, শুধুমাত্র রেজিষ্টেশন নয় ফরম পুরনের জন্য আপনাকে পে করা হবে)।
CPL (Cost-Per-Lead ): এটা নিদিষ্ট পরিমান টাকা বা কমিশন যা পাবলিশারকে প্রতিটা লিডের জন্য পে করা হয়।
PPS (Pay-Per-Sale): এটা হল সেই কমিশন যা পাবলিশার তার মাধমে সেল করা প্রতিটা প্রোডাক্টের জন্য পেয়ে থাকে। (এক্ষেত্রে শুধুমাত্র সেল করা প্রোডাক্ট বা সার্ভিস এর জন্য পে করা হয়ে থাকে)।
CPS (Cost-Per-Sale): এটা নিদিষ্ট পরিমান টাকা বা কমিশন যা পাবলিশারকে প্রতিটা সেলের জন্য পে করা হয়।
PPC (Pay-Per-Click): এটা হল সেই কমিশন বা নিদিষ্ট টাকা যা পাবলিশারকে পে করা হয়ে থাকে তার সাইটে থাকা প্রোডাক্টের ব্যানার বা লিঙ্কে প্রতিটা ক্লিকের জন্য। উদাহরন হিসাবে গুগল এডসেন্স এর কথা বলা যেতে পারে।
CPC (Cost-Per-Click): এটা নিদিষ্ট পরিমান টাকা বা কমিশন যা পাবলিশারকে প্রতিটা ক্লিকের জন্য পে করা হয়।
CTR (Click-Through-Rate): ব্যানার ইম্প্রেশন ও ক্লিকের শতকরা হার।
ধরুন- আপনার সাইটের কোন বিজ্ঞাপন এর ইম্প্রেশন ৫০০০ এবং এই থেকে প্রাপ্ত ক্লিক ৫০ , তাহলে CTR হবে ৫০/৫০০০= ০.০১%
Lead: কোন ভিজিটর যদি পাবলিশার এর মাধ্যমে এডভাটাইজার সাইটে গিয়ে কোন নিদিষ্ট কাজ সম্পন্য করে তাহলে তাকে লিড বলে। যেমনঃ সাইন আপ, ফরম পুরন, ইমেল সাবমিট, ফোন নং সাবমিট, জিপকোড সাবমিট, ডাউনলোড ইত্যাদি।
EPC (Earnings-Per-Click): এটা হচ্ছে প্রতিটা ক্লিক হতে প্রাপ্ত টাকার হার। ধরুন- আপনার সাইটের বিজ্ঞাপনে আপনি ৫০ টি ক্লিক পেলেন এর থেকে ৫ টি লিড পেলেন। প্রতিটি লিডের PPL যদি $1.40 হয় তাহলে আপনার টোটাল আয় হবে $1.40 x 5 = $7 তাহলে আপনার EPC হল $7/50 = $0.14
এগুলো হচ্ছে একেবারেই কমন কিছু শব্দ। এখানে সংক্ষিপ্ত আকারে দেয়া হলো। আরও বিস্তারিত জানতে গুগল এবং উইকিপিয়িা’র সাহায্য নিতে পারেন। আজ এ পর্যন্তই। ধন্যবাদ।

Popular Posts

Recent Posts

Smiley face

ফেসবুক এ প্রতিদিন আপডেট পেতে নিচের ফলো
বাটনে ক্লিক করুন। আপনার প্রোফাইলে
আমাদের আপডেট নিউজ চলে যাবে।

Text Widget